৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর কাশ্মীর এককথায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্ত মোটেই ভালোভাবে নেননি প্রাক্তন নেতা মন্ত্রীরা। এবার কেন্দ্রের প্রশংসায় মুখর হলেন ওমর আবদুল্লাহ।
কিন্তু কেন? জবাব হল – ৩৭০ ধারা। ২০১৯ সালে কেন্দ্রের মোদি সরকার উপত্যকা থেকে রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে দেয়। উপত্যকায় বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর জম্মু ও কাশ্মীরের পরিবর্তন হয়েছে ও শাস্তি ফিরেছে বলে দাবি করলেন ওমর আবদুল্লাহ। একপ্রকার কেন্দ্রেরই প্রশংসা করেন তিনি। ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, ৩৭০ ধারাকে ‘অস্থায়ী বা অন্তর্বর্তীকালীন’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। কারণ ১৯৪৭ সালে ভারতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সময় জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়নি। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি মন্তব্য করেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে ৩৭০ অনুচ্ছেদ | (যার অধীনে জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা ভোগ করত) অস্থায়ী এবং অন্তর্বর্তীকালীন হয়ে উঠেছিল? প্রতিশ্রুতি ছিল একটি গণভোট। জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটা বোঝা গিয়েছিল যে এর ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্ধারিত হবে।’ একে অনেকটা পাল্টি খাওয়া বলে। কারণ ৩৭০ ধারা বিলোপের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা সুর চড়িয়েছিলেন। এবার কেন্দ্রের প্রশংসা শোনা যাচ্ছে ওমরের মুখে।২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে জম্মু ও কাশ্মীরের আমূল পরিবর্তন হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতির পতন ঘটেছে তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে মীরওয়াইজের অফিস। ওমরের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলেন মীরওয়াইজ। পিডিপিও তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতা করে জানিয়েছে, ‘আজ যদি কাশ্মীরকে শান্ত বলে মনে হয়, তাহলে এর কারণ হল ইউএপিএ এবং পিএসএ-এর মতো আইন প্রয়োগ।‘