ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ সংসদীয় কমিটির রিপোর্টের তীব্র বিরোধিতা করেছে মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড। এছাড়া জাতীয় সুন্নি বোর্ড ও শিয়া বোর্ড এই বিলের বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
জাতীয় সুন্নি বোর্ডের মতে, এই বিল মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থবিরোধী এবং বিশেষভাবে সংখ্যালঘু মুসলিমদের অধিকার ও স্বার্থের পরিপন্থী।
সংবাদ সম্মেলনে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্যরা বলেন, “এই বিল মুসলিমদের ওয়াকফ সম্পত্তির সুরক্ষাকে দুর্বল করে দেবে এবং সরকারি হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি করবে।”
সাংবাদিক সম্মেলনে বোর্ডের প্রতিনিধিরা বলেন, এই বিল মুসলিমদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অধিকারের পরিপন্থী।
এতে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকর।
সরকার এই বিলের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের অধিকার হরণ করতে চাইছে।
তারা আরও বলেন, “এই বিল পাস হলে মুসলিমদের নিজস্ব সম্পত্তির উপর দখলদারি ও সরকারি নিয়ন্ত্রণ বেড়ে যাবে, যা সংখ্যালঘুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শিয়া ও সুন্নি বোর্ডের নেতারা একসঙ্গে বলেন, “আমরা সব মুসলিম সম্প্রদায়কে এই বিলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”
তারা ঘোষণা করেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জনসমাবেশ ও প্রচার চালানো হবে। আইনি লড়াইয়ের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আলোচনা করা হবে। মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় সক্রিয় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বোর্ডের সদস্যরা বলেন, “আমরা সকল মুসলিম সংগঠন, মসজিদ, মাদ্রাসা, ওয়াকফ কমিটি এবং সাধারণ জনগণকে এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”
ওয়াকফ বোর্ডের নেতারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, এই বিল পুনর্বিবেচনা করা হোক। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
তারা স্পষ্ট বলেন, “যদি সরকার আমাদের দাবি উপেক্ষা করে, তবে আমরা গণআন্দোলনের পথে হাঁটবো এবং সমস্ত গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ জানাবো।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্যরা,জাতীয় সুন্নি বোর্ডের নেতারা, শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রতিনিধিরা,বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
মুসলিম সংগঠনগুলো একজোট হয়ে এই বিলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারা জনগণের সমর্থন চেয়েছে এবং বলেছে, “আমরা এই আইন মানি না, মানবো না।”