প্রধানমন্ত্রীর বিহার সফরের আগে ১৫টি প্রশ্ন তুললেন তেজস্বী যাদব
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন বিহার সফরের আগে ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে কৃষকদের জন্য বিশেষ একটি প্রকল্পের উদ্বোধনে বিহার সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই এনডিএ সরকারের কার্যক্রম নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন আরজেডি নেতা।
তেজস্বী যাদব বলেন, “বিহারের জনগণ ডবল ইঞ্জিন সরকারের ওপর ভরসা রেখেছিল। কিন্তু বাস্তবে তারা কী পেল? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১১ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করছেন এবং নীতিশ কুমার ২০ বছর ধরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তবুও রাজ্যের মানুষ আজও মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান চায়।”
তেজস্বী অভিযোগ করেন, বিহার এখনও দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, “মাথাপিছু আয়, শিল্পায়ন, কৃষকদের আয়—সব ক্ষেত্রেই বিহার পিছিয়ে। অন্যদিকে, বেকারত্ব, পরিযায়ী শ্রমিক এবং দারিদ্রতার সূচকে বিহার এগিয়ে আছে। এটি কি উন্নয়নের চিত্র?”
তেজস্বী প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেন, ২০১৭ সালে মৌথিহারিতে চিনির কল এবং কাটিহালি পাটকল স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, যা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, মৌথিহারিতে চিনির কল হবে, যাতে সবাই চিনি দেওয়া চা খেতে পারে। আমি জানতে চাই, কবে উনি নিজে সেই চিনি দেওয়া চা খাবেন?”
বিহারের জন্য কেন্দ্র ঘোষিত বিশেষ প্যাকেজের বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তেজস্বী। তিনি বলেন, “এনডিএ সরকার বিহারের কৃষকদের জন্য কী করেছে? কৃষকরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না, কৃষি খাত সংকটে ভুগছে। সরকার বলেছিল, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।”
চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২৪৩টি আসনের মধ্যে আরজেডি পেয়েছিল ৭৫টি, বিজেপি ৭৪টি, জেডিইউ ৪৩টি এবং কংগ্রেস ১৯টি আসন। যদিও আরজেডি, জেডিইউ এবং কংগ্রেস মিলে সরকার গঠন করেছিল, তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই জোট ভেঙে যায়। ফলে এবারের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর নতুন সমীকরণ তৈরি করবে, নাকি পুরনো অভিযোগের মুখে পড়বে সরকার—তা জানতে আগ্রহী গোটা রাজ্য।