জাব্বার সেখ
মায়ের কোলই ছিল তার ভরসা—পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া হোক বা ফলাফল সংগ্রহ। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও দমে যায়নি হরিহরপাড়ার ডলটনপুর গ্রামের আমিনুল সেখ। মায়ের কোলে চড়েই মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল সে। আর শুক্রবার ফল প্রকাশের দিন, আবারও মায়ের কোলেই ভর করে হাজির হয় নিজের স্কুলে—ফল সংগ্রহ করতে।
হরিহরপাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আমিনুল এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। প্রায় ৮০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও সে পেয়েছে ২২৭ নম্বর। এই সাফল্যে খুশি পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
শনিবার দুপুরে হরিহরপাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আমিনুলকে সংবর্ধনা দেয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন—F.M.C ফাউন্ডেশন। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আমিনুলের আগামী এক বছরের পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব তারা বহন করবে। এই খবরে আবেগে ভেসেছেন আমিনুলের মা রোজিনা বিবি।
F.M.C ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ভাতশালা মোড়ে সংস্থার জেলা সম্মেলনে আমিনুলকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা জানানো হবে।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনও প্রতিভা ও সংকল্পের পথে বাধা হতে পারে না—এই বার্তা দিয়েই উদাহরণ হয়ে উঠল ছোট্ট আমিনুল।