মাহে রমজানের ১০তম রোজার দিনে, মুর্শিদাবাদের নুর জাহানারা স্মৃতি হাই মাদ্রাসার সভাগৃহে এক বিশেষ সিয়াম শিবির ও রোজার গুরুত্ব বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে রোজার তাৎপর্য, আত্মসংযম, সংযমের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি এবং ইসলামিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় পবিত্র সুরা ফাতিহা তেলাওয়াতের মাধ্যমে। এটি পাঠ করেন মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ফাহিমা খাতুন, যা বাংলায় সংগীত হিসেবে পরিবেশন করেন সুলতানা ইয়াসমিন। এরপর শিক্ষার্থীরা কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামিক গজল পরিবেশন করে, যা পুরো পরিবেশকে আধ্যাত্মিকতায় ভরিয়ে তোলে।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জানে আলম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “রোজা শুধু উপবাস নয়, এটি আত্মশুদ্ধির অন্যতম মাধ্যম। রোজা মানুষের মধ্যে ধৈর্য, সহানুভূতি ও উদারতার শিক্ষা দেয়। এটি মানুষের আত্মাকে সংযত করতে শেখায়, চিন্তা ও মনকে শুদ্ধ করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের পথ প্রশস্ত করে।”
তিনি কুরআনের সূরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াত তেলাওয়াত করে ব্যাখ্যা দেন—
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।” (সূরা আল-বাকারা: ১৮৩)
সিয়াম শিবিরের অংশ হিসেবে মাদ্রাসার ৬৮০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ইফতার প্যাকেজে রাখা হয় খেজুর, কলা, শসা, আপেল, পেয়ারা, মসম্বি, আঙ্গুর, ফলের জুস ও চিঁড়াভাজা প্যাকেট।
এই সিয়াম শিবির শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষণীয় ও অনুপ্রেরণামূলক বলে মনে করছেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা। মাহে রমজানের পবিত্রতা উপলব্ধি এবং আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব অনুধাবনে এটি একটি সফল কর্মসূচি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।