অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন রাজ্যের মুসলিম সমাজ। প্রতিবারের মতো এবারও কলকাতার রেড রোডে ঈদ-উল-আযহার নামাজের আয়োজনের অনুমতি মিলেছে। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করেন কলকাতা খিলাফত কমিটির কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, ভারতীয় সেনার সঙ্গে আলোচনার পর এবং রাজ্য সরকারের সক্রিয় হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটে গেছে। পূর্বের মতোই এ বছরও রেড রোডেই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, বহু বছর ধরেই কলকাতার রেড রোডে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহার নামাজের বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। শহরের এক অন্যতম বড় ধর্মীয় ঐতিহ্যবাহী জমায়েত হিসেবে এই নামাজে অংশ নেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। তবে চলতি বছর হঠাৎ করেই ভারতীয় সেনার তরফ থেকে রেড রোডে নামাজ পড়ার অনুমতি প্রত্যাখ্যানের খবর ছড়িয়ে পড়ে। এই খবর শোনার পর উদ্বেগ দেখা যায় মুসলিম সমাজের মধ্যে। অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো এতবছরের ঐতিহ্যবাহী ঈদের আয়োজন এবার বিঘ্নিত হবে।
কিন্তু খিলাফত কমিটির তৎপরতায় দ্রুত সমস্যা সমাধানের পথ খুলে যায়। কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে খিলাফত কমিটি। যৌথ আলোচনার পর সেনাবাহিনী তাদের পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে সরে এসে রেড রোডে নামাজের আয়োজনের ছাড়পত্র দেয়। ফলে, এবারও লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মানুষ ঈদের দিন সকালবেলা শহরের হৃদয়ে মিলিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।
রবিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা খিলাফত কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান, সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ, সদস্য মুহাম্মদ খলিল, ইরফান আলী তাজ, ইসহাক মল্লিক, মোমতাজ খান সহ অন্যান্য সদস্যরা। তাঁরা সবাই একবাক্যে এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান।
অনেকে বলে থাকেন, সারা রাজ্য তথা শহরের মুসলিম সমাজের কাছে কলকাতার রেড রোডে ঈদের নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি এক গর্বের ঐতিহ্য ও মিলনমেলার প্রতীক। সেই ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ থাকায় ধর্মপ্রাণ মানুষজনের মধ্যে স্বস্তি ও আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে।