দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য স্পষ্ট—এমন মন্তব্য করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। প্রাক্তন ইউজিসি চেয়ারম্যান ও শিক্ষাবিদ সুখদেও থোরাটের সঙ্গে এক পডকাস্টে তিনি বলেন, “কোনো ব্যক্তির সামাজিক অবস্থান তার যোগ্যতা বা দক্ষতা নির্ধারণ করে না। কিন্তু আমাদের শিক্ষা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় দলিত ও পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য যে সমান সুযোগ তৈরি হয়েছে—এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।”
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, “দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রকৃত পরিস্থিতি বোঝার জন্য জাতভিত্তিক জনগণনা অত্যন্ত জরুরি। এই জনগণনার মাধ্যমেই সঠিক তথ্য প্রকাশ্যে আসবে এবং বৈষম্যের বাস্তব চিত্র স্পষ্ট হবে। কিন্তু যারা এই জনগণনার বিরোধী, তারা চান না সত্য প্রকাশ পাক।”
তিনি বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “আম্বেদকর যে নীতি ও আদর্শের জন্য লড়াই করেছিলেন, তা আজও অধরা রয়ে গেছে। তবে আমরা সেই লড়াই সম্পূর্ণ করব।”
তবে রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। দলটির মুখপাত্র সিআর কেশবন বলেন, “রাহুল গান্ধীর বক্তব্য কংগ্রেসের পরিবারকেন্দ্রিক ও সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতার প্রকাশ।”
বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন, অতীতে কংগ্রেসই সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশ থেকে উঠে আসা নেতাদের অবমূল্যায়ন করেছে। তিনি বলেন, “বাস্তবে বিজেপি জাতভিত্তিক জনগণনার দাবিতে বিপরীত অবস্থান নেয়নি, বরং আরএসএস ও বিজেপি নানা কৌশলে এই বিষয়ে সমীক্ষা বাতিলের চেষ্টা করছে—এমন অভিযোগ বিভ্রান্তিকর।”
শিক্ষা ও সামাজিক বৈষম্য নিয়ে এই বিতর্ক যে রাজনৈতিক মহলে আরও উত্তপ্ত হবে, তা বলা বাহুল্য।