কাশ্মীরের অস্থির পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেলেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের এক পরিযায়ী শ্রমিক। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে পাড়ি দেওয়া আশফাক হক বারো দিন ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগহীন বলে জানা গেছে। বাড়ির সঙ্গে তার শেষ কথা হয়েছিল ফোনে, যেখানে জানিয়েছিলেন খাবারের সমস্যা এবং যুদ্ধের আবহে আতঙ্কের কথা। তারপর থেকেই তার মোবাইল ফোন সুইচ অফ।
আশফাক মালদা জেলার সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাটিওন গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের বড় ছেলে হলেও আইন অনুযায়ী সে এখনও নাবালক। পেটের দায়ে প্রায় কুড়ি দিন আগে কাশ্মীরে ঢালাই মিস্ত্রির কাজের জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু তার কিছুদিন পরই শুরু হয় ভারত-পাকিস্তান সীমানায় উত্তেজনা। ব্ল্যাকআউট, গোলাগুলির শব্দ আর খাদ্য সংকটের মধ্যে পড়ে যান তিনি। বাড়িতে ফোন করে বলেছিলেন, ফিরতে চান। কিন্তু তারপর থেকে আর কোনো খোঁজ নেই।
তার খোঁজে বারবার চেষ্টা চালিয়েছে পরিবার। কিন্তু কোথাও সাড়া মেলেনি। ফলে চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন আশফাকের মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা।
ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক ও রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, পরিবারের পাশে থেকে সবরকম সহায়তা করবেন। একই সঙ্গে উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু রাজ্যে কর্মসংস্থানের অভাবকে দায়ী করে বলেন, “রাজ্যে কাজ না থাকায় এত ছেলেকে বাইরে যেতে হচ্ছে।” তিনি আশফাকের খোঁজে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।